Header Ads

বি,পি,র জীবনী


স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সমন্ধে আমাদের জানা দরকার....তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বালক নেতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল। ১৮৫৭ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী লণ্ডন শহরে তার জন্ম।তার পিতা ছিলেন অক্সফোর্ডের অধ্যাপক,রেভারেণ্ড এইচ,জি,ব্যাডেন পাওয়েল।তার মাতা ছিলেন বৃটিশ এডমিরাল ডাব্লিউটি স্মীথের কন্যা। রবার্ট এর যখন তিন বছর  তখন তার পিতা মারা যায়। চৌদ্দ বছর এর কম বয়সী সাতটি সন্তান লইয়া তাহার মাতা বিধবা হন।এত বড় পরিবারে তাদের অনেক দুঃখকষ্টে কাটাইতে হয়।১৮৭০ সালে বৃত্তি নিয়ে বি.পি. লন্ডনের চার্টার হাউস স্কুলে ভর্তি  হয়।তিনি খুব ধোবি ছাত্র ছিলেন না কন্তিু তিনি প্রাণবন্ত ছিলেন।চার্টার হাউস স্কুলের চরদিকের বনভূমিতে গোপনে অনুসরণের যে কৌশল বি.পি. শিক্ষা করেছিলেন তা ভারত ও আফ্রিকায় তার বিশেষ কাজে আসে ।স্কুলে কোন অনুষ্ঠান হলে তিনি থাকতেন তার সমস্ত জুড়ে।তারপর তিনি চার্টার হাউজ ফুটবল দলে গোলরক্ষক হিসাবে যোগ দেয়। ১৯ বছর বয়সে তিনি চার্টার হাউসের শিক্ষা সমাপ্ত কার মাত্র সাব-লেফটেনেন্টে সিাবে ভারতে যাবার সুযোগ পায়।ফোজী  কাজে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ২৬ বছর বয়সে তিনি কা পতান পদে উন্নীত হন।১৮৮৭ সালে বি.পি. কে দেখা যায়  আফ্রিকায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত।যুদ্ধে তার সাহস দেখে দেশীয় লোকেরা তাহার নাম দিয়েছিলো ইমপিসা-Impeesa বা “সদা জাগ্রত নেকড়ে বাঘ”।১৮৯৯ সালে বি.পি. তখন কর্ণেল পদে উন্নীত হন।অশ্বরোহী বন্দুকধারী দুই ব্যাটেলিয়ান সৈন্য সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা কেন্দ্রস্থলে মাফেকিং শহরে যাইবার জন্য  ব্যাডেন পাওয়েলকে নির্দেশ দেয়।১৮৯৯ সালে ২৪ অক্টোবর হতে ২১৭ দিন পর্যন্ত বি.পি. অবরুদ্ধ  থাকেন। অবশেষে ১৯০০ সালে ১৮ মে সাহায্য বাহিনী পথে যুদ্ধ করতে করতে তারা কাছে পৌছাইতে সমর্থ হয়।অবশেষে মাফেকিং এ সাহায্য পৌছাবিার খবর আসিলে লোক আনন্দে আত্মহারা হইয়া উঠে।এই সময় বি.পি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়।১৯০১ সালে বি.পি. দক্ষিণ আফ্রিকা হতে ইংলণ্ডে ফিরে আসে।তখন দেশের লোক এবং বালকদের কাছে তিনি এক মহান বীর রুপে প্রতিভাত হন ।তিনি লক্ষ্য করেণ যে তার রচিত Aids to Scouting পুস্তকটি বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। Scouting for Boys ১৯০৮ সালের জানুয়ারি মাসে রচিত হয়।বি.পি. ইহতে বিরাট সংগ্রামের আহ্বান শুনতে পান।তিনি বুঝতে পারেন যে দেশের বালকদিকে শক্তিমান পুরুষরূপে গড়ে তোলার এক মহান সুযোগ তার সমনে।১৯০৭ সালে গ্রীষ্মকালে ব্রাউনসি দ্বীপে দুনিয়ার প্রথম স্কাউট শিবির অনুষ্ঠিত হয় ২০ জন বালক নিয়ে।এই  শিবিরে তিনি আশাতীত সাফল্য লাভ করে।এই আনেদালন ক্রমে ক্রমে বিস্তার লাভ করিতে থাকে।১৯১০ সালে ইহা এত বিরাট আকার ধারন করে যে বি.পি বুঝতে পারেন যে স্কাউট এর কাজই তার জীবনের প্রধান কাজ।সামরিক চাকুরীতে তিনি তখন লেফটেনান্ট জেনারেল পদ অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি তাতে ইস্তিফা দিলেনএবং তার নিজের কথাতে দ্বিতীয় জীব শুরু করেন,স্কাউটিং এর মারফতে দুনিয়ার সেবা করার জীবন।১৯১২ সালে বিভিন্ন দেশের স্কউটদের সহিত মিলিত হইবার জন্য তিনি ভু-প্রদক্ষিণে বাহির হন।১৯২০ সালে পৃথিবীতে সকল দেশের স্কাউটরা প্রথম আন্তর্জাতিক সমাবেশে প্রথম বিশ্ব জাম্বুরীতে লণ্ডনে মিলিত হয়।৬ই আগষ্ট এই জাম্বুরীর শেষ সন্ধ্যায় হর্ষোৎফুল্ল বিরাট বালক জনতা বি.পি. কে বিশ্বের প্রধান স্কাউট রুপে ঘোষণা করে।স্কাউট আনোলনের প্রসার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাইতে থাকে।ইহার একবিংশ জন্মদিনে যেদিন এই আন্দোলন সাবালক হয় সেদিন পৃথিবীর সমস্ত সভ্যদেশে স্কউটের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লক্ষের উপরে।সেই উপলক্ষে রাজা পঞ্চম জর্জ বি.পি. কে “লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল” উপাধি দেন।১৯২৮ সালে ডেনমার্ক,১৯২৯ সালে ইংল্যান্ড ১৯৩৩ সালে হাংগেরীতে,১৯৩৭ সালে হল্যাণ্ড এ জাম্বুরি অনুষ্ঠিত হয়।ইহারপ্রত্যেক জাম্বুরিতে ব্যাডেন পাওয়েল ছিলেন প্রধান ব্যক্তি।বি.পি. স্কাউটিং এর উন্নতিকল্পে বহু দেশে ভ্রমণ করেন অনেক দেশের স্কাউট নেতাদের সহিত তিনি বিনিময় করেন। অবশেষে আশি বছর যখন তাহার শক্তি হ্রাস পেতে থাকে।থখন তাহার স্ত্রী লেডী ব্যাডেন পাওয়েল কে নিয়ে তিনি তাহার প্রিয় আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন করেন।তার স্ত্রী “ওলিভ ব্যাডেন পাওয়েল” নিজে ব্যাডেন পাওয়েল দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত গার্ল গাইড আন্দোলনের প্রধান কর্ত্রী ছিলেন।তার তিন সন্তান ছিলো ......বেটি ক্লে,হিদার গ্রেস,পিটার।তাহার কীনিয়ার এক শান্ত এলাকায় বসতি স্থাপন করেন যেখানে হতে মাইলের পর মাইল বনের উপর দিয়া তুষারকৃ পর্বত শৃংগ পর্যন্ত চমৎকার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। সেখানে ১৯৪১ সালে ৮ই জানুয়ারী তাহার ৮৪শ তম জন্মদিনের কয়েকদি পূর্বে আমাদের মহান নেতা বি.পি. পরলোকগমন করেন।যা ছিল আমাদের স্কাউট সত্যি একটা দুঃখের দিন।তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন আমরা সবসময় তাকে সরণ করব....।।।।

1 comment:

Powered by Blogger.